1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু অভিযোজনে যাকাতের অর্থ

৪ মে ২০২৪

যাকাত, সদকার টাকা দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা যায় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4fV3t
এল নিনোর প্রভাবে কলম্বিয়ার লেকের পানির স্তর নিচে নেমে গিয়েছে৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তেই দেখা দেয় তীব্র খরা৷ ফাইল ফটো৷ ছবি: Fernando Vergara/picture alliance/dpa

তবে ইন্দোনেশিয়ার ধর্মীয় পণ্ডিতেরা এবছর একটি ফতোয়া জারি করে বলেছেন, যাকাতের টাকা দিয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা যেতে পারে৷

এছাড়া গাছ লাগানোর জন্য জমি বা অর্থ দেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা৷

ইন্দোনেশিয়ার ওলেমা পরিষদের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের প্রধান হায়ু প্রাবোয়ো বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি মানুষ এখন জানবে যে, জলবায়ু পরিবর্তন যে বাস্তব সে বিষয়ে ধর্মীয় পণ্ডিতরা একমত, এবং আমাদের ধর্মগ্রন্থ আমাদের মানুষের ভবিষ্যৎ রক্ষায় সহায়তা করার শিক্ষা দেয়৷’’

বাংলাদেশের বরইকান্দি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মানবাধিকারকর্মী মো. রিয়াজ উদ্দীন থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘‘ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, অন্য মানুষ ও পরিবেশের প্রতি ভালো আচরণ করা৷'' তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যারা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছেন, তাদের সহায়তায় যাকাত, সদকার টাকা ব্যবহার করা যেতে পারে৷

বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত যাকাতের টাকা দিয়ে গরিব আত্মীয়স্বজন ও মানুষদের সহায়তা করে থাকে৷ বেশিরভাগ সময় যাকাতের টাকা দিয়ে কাপড় কেনা হয়৷ এতে অসহায় মানুষদের দীর্ঘমেয়াদী লাভ হয় না বলে মনে করেন মো. রিয়াজ উদ্দীন৷

অথচ প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা দান করা হয়, তা ঠিকমতো সমন্বয় করে ব্যবহার করতে পারলে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন তাদের সহায়তা করা সম্ভব বলে মনে করেন জাকির এইচ খান৷ তিনি ঢাকার গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী৷ জলবায়ু কার্যক্রমের অর্থায়নে যাকাত, সদকার অর্থ ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন৷

গতবছর প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে যাকাত হিসেবে ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার তোলা সম্ভব৷ আর গতমাসে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, জলবায়ু অভিযোজন অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বছরে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন৷

ওয়াটারএইড নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালির মতো দেশে লবণাক্ততার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করছে৷

সংস্থার বাংলাদেশ প্রধান হাসিন জাহান বলেন, ‘‘আমরা যুক্তরাজ্যের মতো দেশ থেকে যাকাতের মাধ্যমে অনেক অর্থ সংগ্রহ করি, যেটা দিয়ে জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করা হয়৷’’

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে মাদ্রাসাগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা কঠিন৷

ঐসব এলাকার মেয়ে ও তরুণীদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করছে ওয়াটারএইড৷ ‘‘স্কুলে লবণমুক্ত পানি পাওয়ায় আমরা খুশি৷ এছাড়া আমাদের বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাডও দেওয়া হয়'' বলে জানিয়েছে ১৫ বছর বয়সি সুরাইয়া খাতুন৷

জেডএইচ/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য